Like & share

Tuesday, December 22, 2020

CONFIRMATION OF THE TEACHING AND NON-TEACHING STAFF FOR GOVERNMENT, GOVERNMENT SPONSORED AND NON- GOVT. AIDED) JUNIOR HIGH/SECONDARY SCHOOLS RECOGNISED BY W.B.B.S.E IN WEST BENGAL

 

West Bengal Board of Secondary Education

“Nivedita Bhawan”, (DJ-8, Sec-II, Salt Lake City, Koltkata - 700091

NOTIFICATION

No.:D.S(Aca)/863/C/68                                                                                  Date: 11.12.2020

From : DR. PARTHA KARMAKAR, W.B.E.S.,

Deputy Secretary (Academic)

To:      THE HEADS OF ALL (GOVERNMENT, GOVERNMENT SPONSORED AND NON-

GOVT. AIDED) JUNIOR HIGH/SECONDARY SCHOOLS RECOGNISED BY W.B.B.S.E IN WEST BENGAL

SUB :CONFIRMATION OF THE TEACHING AND NON-TEACHING STAFF

INCLUDING LIBRARIAN

Sir/Madam,

The procedure of the confirmation of the Teaching and Non-Teaching staff including Librarian has to be started at an early date as per Notification No. 213-SE/S/ 10M-01/18, dated Kolkata, the 8th March,2018 and No.244- SE/S/10M-01/18, Date 16.03.18 .

The steps of confirmation will be as follows:

1)           The candidates will pray for his/her confirmation to HOI after appearing in the Medical test and police verification.

2)           The HOI will call a MC meeting with a specific agenda for confirmation of the Candidates who had prayed for it.

3)           The MC/S.M.C will adopt a resolution or Administrator will issue an order regarding the satisfactory continuous service of the candidate since his/her joining.

-2-

4)           After that, the HOI will send the documents with a forwarding letter to the respective D.I of Schools (S.E). The documents are as follows:

     Recommendation letter issued by WBCSSC,

     Appointment letter of the Candidate issued by W.B.B.S.E,

     Joining letter,

     Approval letter,

     The photocopy of resolution of the M.C or

Administrator's order regarding   the

satisfactory continuous service of the candidate since his/her joining,

     Non litigation Certificate,

     Validation of S.M.C/Administrator,

5)           The respective D.I of Schools(S.E) will forward his/her opinion along with all documents of the Candidate to the W.B.B.S.E for confirmation. All cases for candidates who have completed 02 years of satisfactory service may be sent together by January 15,2021.

6)           W.B.B.S.E will issue the confirmation letter in favour of respective candidate after receiving all necessary documents as mentioned in SI. No.4.

7)           Confirmation letter in favour of only those Candidates will be issued whose PVR and medical fitness certificate are cleared.

8)           The Head of the Institution will record the confirmation of the Candidate in his/her service book.

Deputy Secretary (Academic) W.B.B.S.E

Text Box: Date: 11.12.2020

Text Box: -3-

Memo No: D.S(Aca)/ 863/l(10)/C/68

Copy forwarded for information and necessary action to the:

1.    Principal Secretary, School Education Department, Govt, of W.B

2.     Commissioner of School Education, Govt, of W.B.

3.     O.S.D to MIC, School Education Department, Govt, of W.B.

4.     D.I of Schools (SE)....... (All Districts) with a request to circulate to all concerned

5.     D.S (Administration), W.B.B.S.E, with the request to upload the notification in the Board's website

6.     All Deputy Secretaries of W.B.B.S.E

7.     All Regional Officers of W.B.B.S.E

8.     P.A to President, W.B.B.S.E

9.     P.A to Secretary, W.B.B.S.E

10.   Office file.


 



Deputy Secretary (Academic) W.B.B.S.E

 
 

 

 


What the video for more information 

শিক্ষক নিয়োগে আমূল পরিবর্তন, নয়া নিয়োগ পদ্ধতি WB SSC-এর

 শিক্ষক নিয়োগে আমূল পরিবর্তন, নয়া নিয়োগ পদ্ধতি WB SSC-এর 


শিক্ষক নিয়োগে আমূল বদল আনল পশ্চিম বঙ্গ স্কুল সার্ভিস  কমিশন৷ গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় গুচ্ছ বদল আনা হয়েছে৷ এবার দেখুন পূর্ণাঙ্গ গেজেট নোটিফিকেশনের বাংলা অনুবাদ৷


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনামায় সবিস্তারে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, শিক্ষক পদে এখন থেকে ২১বছর  থেকে ৪০ বছর বয়সী কর্মপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন৷  লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেই তারা চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন৷ কোনও রকম ইন্টারভিউয়ের হবে না৷ 


১. নিয়মাবলী- ক) এই নয়া নিয়মাবলী পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ( জুনিয়র হাইসেকেন্ডারি এবং হায়য়ার সেকেন্ডারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ) রুলস, ২০১৯ নামে পরিচিত হবে৷


খ) সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে নয়া নিয়মাবলী কার্যকর হবে৷


২. ক)  ‘অ্যাক্ট’ অর্থে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৭ বোঝানো হয়েছে৷


খ) ‘নিয়োগকর্তা’ - ডেপুটি সেক্রেটারির পদের নীচে কোনও অফিসারের নিয়োগ অধিকার থাকবে না৷


গ) ‘বোর্ড’ অর্থাৎ ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যাক্ট, ১৯৬৩-এর অধীনে ওয়েস্ট বেঙ্গলববোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন ৷


ঘ) ‘বিভাগ ’ - আপার প্রাইমারি থেকে হায়য়ার সেকেন্ডারি লেভেল পর্যন্ত বিষয়/ গ্রুপ, বেতনক্রম, লিঙ্গ, সংরক্ষণ অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে৷


গ) ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়’ –এর নিরিখে ফাঁকা পদে প্রার্থী নিয়োগ করা হবে৷


ঘ.) ‘ডিগ্রি’ অফবা ‘ডিপ্লোমা’ বোঝাতে ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইন্সটিটিউশন থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন স্বীকৃত পেশাগত যোগ্যতা বলা হয়েছে৷


ঘ) চূড়ান্ত শূন্যপদের তালিকা – রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে সহকারী শিক্ষক পদে শূন্যপদ ঘোষণা করেব বোর্ড৷


ঙ) ‘NCTE’ হল – ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন অ্যাক্ট, ১৯৬৩ র অধীনে গঠিত সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন৷


৩. যে পাঁচটি ভাগে নিয়োগ পদ্ধতিকে ভাগ করা হয়েছে-

  • স্কুলে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে সহকারি শিক্ষক - গ্রুপ ১
  • নবম ও দশম শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক- গ্রুপ ২
  • একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক- গ্রুপ ৩
  • শরীরশিক্ষা পদে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে সহকারী শিক্ষক - গ্রুপ ৪
  • কর্মশিক্ষা পদে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে সহকারী শিক্ষক- গ্রুপ ৫


৪. শূন্যপদ এবং মেধার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে৷


বিদ্র: কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে ১০টি শবন্যপদের নিরিখে  x, y এবং z তিনটি বিভাগেই আবেদন করতে পারেন ৷  যথাক্রমে তার প্রথম পছন্দ x, দ্বিতীয় পছন্দ y এবং তৃতীয় পছন্দ z ৷ যদি তিনি প্রথম ক্যাটাগরিতে ১১ তম স্থান, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে সপ্তম এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান দখল করেন তাহলে x ক্যাটাগরিতে তিনি চাকরি পাবেন না৷ তাঁকে নিয়োগ করা হবে y ক্যটাগরিতে ৷


৫. নিয়োগ পদ্ধতি – সেকসন বি অনুযায়ী সেন্ট্রাল কমিশননের মাধ্যমে স্টেট লেবেল টিচার্স সিলেকশন টেস্ট (এসএলটিএসটি)-এর ভিত্তিতে ফাঁকা পদ পূরণ করা হবে৷


৬. রাজ্য সরকার অনুমোদিত নিয়োগ কমিটি বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুর করার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে লিখিত ফরমাশ পাঠাতে পারে৷


৭.বিজ্ঞপ্তি- ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষায় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে৷


৮. স্টেট লেভেল টিচার্স সিলেকশন টেস্ট পরীক্ষার জন্য কত টাকা দিতে হবে তা নির্ধারণ করবে সেন্ট্রাল কমিশন৷


৯. বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্য ফর্ম জমা করতে হবে ।


১০. কী ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা হবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে সেন্ট্রাল কমিটির ৷

কোনও দুই প্রার্থী যদি একই নম্বর পান তাহলে তাদের মধ্য লিখিত পরীক্ষায়  অধিক নম্বর প্রাপ্তকে বেছে নেওয়া হবে ৷ সেক্ষেত্রেও সমান নম্বর থাকলে জন্ম সালের নিরিখে বিচার করা হবে ৷ এক্ষেত্রে সুযোগ পাবেন বয়োঃজেষ্ঠ প্রার্থী৷

 

১১. প্যানেলটি গঠিত হওয়ায় এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে৷ বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে সন্ট্রাল কমিশন প্যানেলের মেয়াদ বাড়াতে পারে৷  

১২. নিয়োগ- প্যানেল থেকে প্রার্থীদের নাম বোর্ডের কাছে সুপারিশ করবে সেন্ট্রাল কমিশন ৷ নথিপত্র যাচাই করার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন রুলস , ২০১৮ মোতাবেক প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে ৷


১৩. মিথ্যা বা জাল নথির ভিত্তিতে যদি কোনও প্রার্থীর সুপারিশ করা হয় এবং তা তদন্তে ধরা পড়লে সেই নিয়োগ বাতিল করা হবে৷    


১৪. প্যানেল প্রকাশিত হওয়ায় তিন বছরের মধ্যে সেন্ট্রাল কমিশনকে পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলতে হবে ৷

১৫. কোনও কারণে ফাঁকা পদ পূরণ না হলে তা নিয়োগ সংক্রান্ত কতৃপক্ষকে অবগত করতে হবে৷


১৬. সেন্ট্রাল কমিশনের কোনও সিন্ধান্তে প্রশ্ন উঠলে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷ সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে৷


১৭. পূর্ববর্তী নিয়ম অনুয়ায়ী যে সকল নিয়োগ পদ্ধতি সম্পন্ন হয়েছে, সেক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না৷


১৮. নয়া নিয়ম চালু করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দখা গেলে তা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার সেন্ট্রাল কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারে অথবা নিজেও কোনও পদক্ষেপ করতে পারে৷


আরও  বিস্তারিত জানুন নীচের ভিডিওতে 






বা 

Saturday, December 12, 2020

ছাত্র/ছাত্রীদের ২০২০ থেকে ২০২১ academic session তে promotion/ detention এর জন্য কি কি করতে হবে

 ছাত্র/ছাত্রীদের ২০২০ থেকে ২০২১ academic session তে promotion/ detention এর জন্য "Promotion/Detention module " চালু হয়েছে আজ ১২/১২/২০২০ থেকে। তবে Promotion/Detention finalize করার আগে নিচের বিষয়গুলি যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। একবার finalize হইয়ে গেলে পরবর্তীতে reverse back তে আসা  অসম্ভব।                 

 ১) অ্যাকাডেমিক সেশন ২০১৯ এ ছাত্র/ ছাত্রীদের ২০২০ অ্যাকাডেমিক সেশন এ প্রমোশন করিয়ে তারপর ২০২১ অ্যাকাডেমিক সেশন এ promotion/ detention করতে হবে।

 ২) প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীর ' image upload না হইয়ে থাকলে তার ব্যাবস্থা করা(যদি আগে না হইয়ে থাকে) বা ইমেজ কোনোভাবেই ব্যাবস্থা না করতে পারলে তার যথাযথ " reason" দেওয়া ও ওই ছাত্রী/ছাত্রীকে " deactivate" করা।  Deactivated student দের unlock করা  যাবে "active " করার জন্য, তবে  image upload না থাকলে unlock করা যাবে না। তবে support mail তে স্টুডেন্ট details ও ছবি পাঠাতে হবে এর জন্য।  

৩) প্রত্যেক ছাত্র/ ছাত্রীর (CC candidate সহ) পিতা ও মাতা উভয়ের নাম নথিভুক্ত আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে, না থাকলে  "  update students basic details" moduleএর মাধ্যমে উভয়ের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। Students basic details এর অন্যান্য অংশ গুলোও verify করে নিতে হবে যেমন " gender" etc না হলে পরে " Transfer in"এর সমস্যা হবে।  ড্রপ বক্স তে থাকা ছাত্রী/ছাত্রীদে রও পিতা/মাতার নাম modify করা যাবে, তবেই এদের " transfer in" করা যাবে. 

৪)  promotion/detention এর আগে "active" and " deactivated" students দের verify  করে identify করতে হবে। ড্রপ বক্স তে থাকা  readmission নেইনি এমন  student দের প্রমোশন করেও deactivate করা যাবে। Discontinued student দের ( long absentee) deactivate করতে হবে। 

 ৫) "Students Basic detail"  HOI log in থেকে করা যাবে তবে " School Basic details" SI log in থেকে করা যাবে। সে ক্ষেত্রে '  HOI log in' এর School basic detail module থেকে PDF file পূরণ করে SI saheb কে দিতে হবে।                       

অন্যান্য : 

১) Terminal Class (IV/V/VIII/X) ছাত্র/ছাত্রীদের "Transfer out " এবং "Transfer in" ১৮/১২/২০২০ থেকে করা যাবে।  তবে আগে "promotion/detention সম্পূর্ণ করতে হবে। "School Leaving Certificate" by default generate হবে through " Promotion/Detention" module

 ২) General Class ছাত্র/ছাত্রীদের দের "Transfer out" এবং " Transfer in"  ০১/০১/২০২১ থেকে করা যাবে । তবে আগে " প্রমোশন/detention সম্পূর্ণ করতে হবে।   TC/SLC তে কোনো ভুল থাকলে তা "Transfer out" School থেকে সংশোধন করতে হবে ( আগের স্কুল), তাই promotion/detention এর আগেই " students basic details" verify /check করা দরকার।     

৩) মাধ্যমিক ছাত্র/ ছাত্রীদের "Transfer out" করতে হলে তা আগে " promotion/detention" module এর মাধ্যমে করতে হবে। তবে TC generate হবে। কোনো বিদ্যালয়ের এগুলো পেন্ডিং থাকলে তা অতি সত্বর করে নিতে হবে। না হলে " Transfer in" সম্ভব না।                           

৪)Incentive : বিভিন্ন Incentive এর ক্ষেত্রে ( Text Book or উচ্চমাধ্যমিক candidate দের জন্য tab প্রভৃতি) banglar shiksha e portal এ নথিভুক্ত (enrolled) " active" ছাত্র/ ছাত্রীরা পাবে। সুতরাং এ বিষয়ে যথেষ্ট সাবধানতা নিতে হবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের HOI e বিষয়ে enrolled students দের ভালো করে verify করবেন। Class XII এর ছাত্র ছাত্রীদের লিস্ট (including CC candidates) ভালোভাবে verify করতে হবে  যাতে বিদ্যালয়ের যোগ্য সব  যোগ্য ছাত্র/ছাত্রী  incentive পায় ।        

৫) "New enrolled Students" দের data entry (academic session ২০২১) ১৮/১২/২০২০ থেকে করা যাবে। এ ক্ষেত্রে portal থেকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করে নিতে হবে , তবে ৮২ column এর DCF এর সাথে নেওয়া হলে ভালো, কারণ পরে এটা লাগবে।### Deactivated students: 

  • ১) Long absentee 
  • ২) Migrated 
  • ৩) Not readmitted
  •  ৪) Admitted in other management School 
  • ৫) Died

আরও বিস্তারিত জানতে নীচের ভিডিও টি দেখুন ঃ


Thursday, December 3, 2020

বাঙালীর রসনা তৃপ্ত করে আসা পশ্চিমবঙ্গের ১৪ টি বিখ্যাত দোকান

 দশকের পর দশক ধরে পরিষেবা দিয়ে যাওয়া কলকাতার অতি বিখ্যাত ১৪টি খাবারের দোকানকে হেরিটেজ তকমা দিল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক)। এইসব দোকান গুলো বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে করে আসছে তাদের জন্মলগ্ন থেকে।


এই হেরিটেজ তকমার জন্য কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অন্তর্গত এমন কতকগুলি খাবারের দোকানকে বাছাই করা হয়েছে, যারা ঠিকানা বদল না করে ১৯৬০ সাল বা তারও আগে থেকে আজ অব্দি একই জায়গায় থেকে ব্যবসা করে চলেছে এবং যাঁদের অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এই সূত্রে এই ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে নীল রঙের বিশেষ ফলক দেওয়া হল। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এই প্রথম ইনট্যাক খাবারের দোকানকে হেরিটেজ শিরোপা দিল। কারণ এতদিন পর্যন্ত এই শিরোপা মূলত কোনও সরকারি বিল্ডিংকে দেওয়া হয়ে এসেছে।


তালিকা


নিচে প্রতিষ্ঠা সালের হিসেবে সেই ১৪টি দোকানের নাম, বন্ধনিতে তাদের প্রতিষ্ঠা সাল, ঠিকানা, তাদের সেরা খাবার ও অন্যান্য বিষয়ে জানানো হল-


১) ভীম চন্দ্র নাগ (১৮২৬)


ঠিকানা: ৫, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০১২ (বউবাজার মোড়ের কাছে) খোলা থাকে: সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা ।


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: পান্তুয়া


বিবরণ: হুগলী জেলার জনাই থেকে প্রাণ চন্দ্র নাগ কলকাতার বউবাজারে একটি ছোট্ট মিষ্টির দোকান খোলেন। পরে পুত্র ভীম চন্দ্র নাগ সেই দোকানের দায়িত্ব নেন। মিষ্টির ইতিহাসে কড়াপাক নামের অধ্যায়ের সংযোজনে ভীম নাগের ভূমিকা অপরিসীম। ১৮৫৬ সালে লেডি ক্যানিং-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভীম নাগ এক বিশেষ ভাজা মিষ্টি তৈরি করেন। সেই মিষ্টি গভর্নর জেনারেলের স্ত্রীর এত ভাল লেগে যায় যে তাঁর প্রিয় ডেজার্টের তালিকায় ঢুকে যায় এই মিষ্টি। প্রতিটি অনুষ্ঠানে এই মিষ্টি উপস্থিত থাকত। লেডি ক্যানিং-কে সম্মান জানিয়ে ভীম নাগ এই মিষ্টির নাম রাখেন ‘লেডি ক্যানিং’, লোকমুখে যা হয়ে দাঁড়ায় লেডিকেনি। এই দোকানে একটি বাংলায় ডায়াল লেখা ঘড়ি আছে, যার মাঝে লেখা ‘কুক অ্যান্ড কেলভি’। ১৮৫৮ সাল নাগাদ লন্ডনের কুক অ্যান্ড কেলভি যখন একচেটিয়া ব্যবসায় ভারত-সহ বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন একবার সেই কোম্পানির মালিক চার্লস কেলভি ভীম চন্দ্র নাগের দোকানে মিষ্টি খান। সেই মিষ্টি খেয়ে তিনি একেবারে মোহিত হয়ে পড়েন। দেওয়ালে তাকিয়ে কোনও ঘড়ি দেখতে না পেয়ে তার কারণ জানতে চান। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ভীম নাগ তার অপারগতার কথা জানালে সাহেব বলেন যে, তিনি খুশি হয়ে এই দোকানে একটা দেওয়াল ঘড়ি উপহার দেবেন।


নাগমশাই সন্তর্পণে জানান, তাঁর কর্মচারিরা ইংরেজি পড়তে পারেন না। তাই সম্ভব হলে বাংলায় লেখা ঘড়ি দেওয়া হলে সকলের সুবিধে হবে। সেই মতো লন্ডন থেকে বাংলা হরফে লেখা ডায়াল তৈরি হয়ে আসে। সেই ঘড়ি এখনও শোভা পাচ্ছে ভীম নাগের দোকানে।


শোনা যায়, রাজা রামমোহন, রানি রাসমনি, বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখার্জি সকলেই ভীম নাগের সন্দেশের ভক্ত ছিলেন। আশুতোষ নাকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সেরে প্রতি সন্ধেতেই ভীম নাগের দোকানে ঢুঁ মারতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ভীম নাগের মিষ্টি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও খুব ভালবাসতেন। তাই রানী রাসমণি যখনই পরমহংসের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, সঙ্গে থাকত এক হাঁড়ি ভীম নাগের মিষ্টি। মন্দির প্রতিষ্ঠালগ্নে নাকি ভীম চন্দ্র নাগ থেকে তিন মণ মিষ্টি নৌকা পথে দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিল। প্যাঁড়া, ক্ষীরের পুতুলের পাশাপাশি এই প্রজন্মের পেস্তা সন্দেশ, স্ট্রবেরি সন্দেশের মতো ফিউশনাল মিষ্টিতেও জমে উঠেছে আজকের ভীম নাগ।



২) গিরিশ চন্দ্র দে ও নকুর চন্দ্র নন্দী (১৮৪৪)


ঠিকানা: ৫৬, রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০৬ (হেদুয়ার বেথুন কলেজের কাছে)। খোলা থাকে: সকাল ৭টা থেকে রাত ১০.৩০।


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: সন্দেশ


বিবরণ: গিরিশ চন্দ্র দে আর নকুর চন্দ্র নন্দী মিলিতভাবে একটি মিষ্টির দোকান তৈরি করেন। প্রথম থেকেই এরা জলভরা, কাঁচাগোল্লা, শাঁখসন্দেশ পরিবেশন করে বাঙালি রসনা তৃপ্ত করে চলেছেন। নরম পাকের সন্দেশের এই দোকান কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ও সেরা। বিবেকানন্দ থেকে সত্যজিৎ অথবা অভিষেক থেকে অমিতাভ বচ্চন, কোয়েল মল্লিক সকলেই নকুরের মিষ্টির ভক্ত। অভিষেক বচ্চনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই দোকান থেকেই নাকি সন্দেশ গিয়েছিল।



৩) দিলখুশা কেবিন (১৯১৮)


ঠিকানা: ৮৮, মহাত্মী গান্ধী রোড, কলকাতা ৭০০ ০০৯ (কলেজ স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলের কাছে)। খোলা থাকে: বেলা ১২টা থেকে রাত ৮.৩০


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: কবিরাজি কাটলেট


বিবরণ: কলকাতার কবিরাজি কাটলেটের যে কালচার তাতে অন্যতম সেরা নাম দিলখুশা কেবিন। চুনীলাল দে আজ থেকে প্রায় ১০২ বছর আগে এই কেবিন তৈরি করেন। কেবিনের বাইরে এখনও দেওয়ালের গায়ে সিমেন্টে-খোদাই করে দোকানের নাম লেখা আছে। পুরনো কাঠ-পাথরের চেয়ার টেবিল, জানলায় টকটকে লাল পরদা, সেকেলে মেঝে, দেওয়ালে বেলজিয়াম গ্লাসের আয়না। তবে আগের সেই ঢাকাওয়ালা কেবিন আর নেই। সব মিলে এক মুহূর্তে পুরনো কলকাতার ছবিটা জ্বলজ্বল করে ওঠে।


দিলখুশা কেবিনের সেরা আইটেম কবিরাজি বাদ রাখলে মাটন চপ, ডেভিল, ব্রেস্ট কাটলেটও মনে রাখার মতো। একসঙ্গে ৬৫ জন বসতে পারেন। কবিদের আড্ডা, থিয়েটার পাড়ার লোকজনের আনাগোনা সব মিলিয়ে এ যেন মিনি কফিহাউস।



৪) প্যারামাউন্ট (১৯১৮)


ঠিকানা: ১/‌১/‌১/‌ডি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার, কলকাতা ৭০০ ০৭৩ খোলা থাকে: বেলা ১২টা থেকে রাত ৯.৩০


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: শরবত


বিবরণ: বরিশালের নীহাররঞ্জন মজুমদার ১৯১৮ সালে প্যারামাউন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তবে কলকাতার এই বিখ্যাত শরবতের দোকানের আদি নাম ছিল প্যারাডাইস। সময়টা স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগ। তখন শরবতকে সামনে রেখে দোকানের পেছনে স্বদেশী কাজকর্ম হত। বিপ্লবী সতীন সেন এটিকে স্বদেশী অনুশীলন কেন্দ্র বানিয়েছিলেন। আসতেন বাঘাযতীন ও পুলিনবিহারী দাসের মতো প্রথমসারীর বিপ্লবীরাও। এসেছেন সুভাষ বসু, জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন বসু,। তবে বেশিদিন ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ফাঁকি দেওয়া গেল না। পুলিশ বন্ধ করে দিল এই দোকান।


১৯৩৭ সালে আবার খুলল দোকান। ‘প্যারাডাইস’ হল প্যারামাউন্ট। নজরুল ইসলাম এই দোকানে বার বার আসতেন। সত্যজিৎ রায় ছাড়া এখানে আসতেন উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, শচীনদেব বর্মন, বিকাশ রায়। আসতেন সৌমেন ঠাকুর, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, অমর্ত্য সেন, নবনীতা দেবসেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিষ্টুচরণ ঘোষ, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, মনোহর আইচ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, এমনকী সৌরভ গাঙ্গুলি। বিশিষ্টদের টান ছিল ডাবের শরবতে। এই শরবতের রেসিপি দিয়েছিলেন স্বয়ং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় নীহাররঞ্জন মজুমদারকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে বসিরহাট থেকে আনা ডাবের শাঁস মিশিয়ে শরবতে নতুন স্বাদ আনতে হয়। ভাবা যায়!



৫) অ্যালেন কিচেন (১৯২০)


ঠিকানা: ৪০১/১, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০ ০০৬ (সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একেবারে ওপর। গ্রে স্ট্রিট মোড় থেকে ধর্মতলার দিকে এগোলে বাঁ দিকে) খোলা থাকে: বিকেল ৪.৩০ থেকে রাত ৯.৩০


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: কাটলেট


বিবরণ: এ দোকান আদতে ছিল স্কটিশ সাহেব মিস্টার অ্যালেনের। চার পুরুষ আগে জীবনকৃষ্ণ সাহা স্পেনসেস হোটেল ছেড়ে এখানে কাজ করতে আসেন। অ্যালেন সাহেব দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় দোকানের স্বত্ব দিয়ে যান জীবনবাবুকে। অ্যালেনের প্রায় কুড়িটা আইটেমের মধ্যে স্পেশাল প্রন বা ভেটকি কাটলেট, চিকেন-মাটন স্টেক, কবিরাজি কিংবা অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ঘরানার মাছ-মাংসের পুর দেওয়া চপ বিখ্যাত। ছোট্ট দোকানে গ্রিলের দরজা। ঢুকেই রান্নাঘর। মাতাল করা খুসবু পেরিয় ভেতরে ঢুকলেই কাঠের চৌকো চারটে টেবিলে বসার জায়গা। খাদ্যপ্রেমিক নেতা, আমলা, সাংবাদিক, সঙ্গীতকার, কবি, অভিনেতারা সব গাড়ি হাঁকিয়ে চলে আসেন অ্যালেনের ডেরায়।



৬) নিরঞ্জন আগার (১৯২২)


ঠিকানা: ২৩৯/এ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০ ০০৬ (গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে) খোলা থাকে: বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: এগ ডেভিল


বিবরণ: নিরঞ্জন আগারের খদ্দের তালিকা শুনলেও চোখ কপালে উঠবে। মান্না দে, বিকাশ রায়, উৎপল দত্ত, তরুণকুমার, অপর্ণা সেন প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা এখানে প্রায়ই আসতেন। উৎপল দত্ত ও অপর্ণা সেন ডিমের ডেভিল, তরুণকুমার মাংসের কোপ্তা, বিকাশ রায় মটন ব্রেস্ট কাটলেট পছন্দ করতেন। মিনার্ভা থিয়েটারে রিহার্সাল চলাকালীন সমস্ত খাবার যেত এই দোকান থেকেই। এ ছাড়া এই দোকানের ডিমের ডেভিল মাপে এবং স্বাদে নজরকাড়া, কষা মাংস, ফিশ ফ্রাই-এর সুনাম তো আছেই। এই দোকানের ভেজিটেবল চপ ‘বোমা’ নামে পরিচিত। স্বাদ ও আকারে তা বোমারই মতো বড়ো। নিরঞ্জন আগারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নিরঞ্জন হাজরা। তাঁর নামেই দোকানের নাম। আগার কথাটির মানে খাবারের জায়গা।



৭) ইউ চাউ রেস্টুরেন্ট (১৯২৭)


ঠিকানা: ১২, গনেশ চন্দ্র অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০ ০১৩ (চৌরঙ্গী নর্থ, বো ব্যারাকের কাছে) খোলা থাকে: বেলা ১২টা থেকে ৩টে ও সন্ধে ৬.৩০ থেকে রাত ১০টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: চাইনিজ


বিবরণ: এসপ্ল্যানেডের কাছে চাইনিজ বিপ্লব। ৫৫ জন বসার উপযোগী ইউ চিউ রেস্টুরেন্ট শহরের সবচেয়ে পুরনো চাইনিজ জয়েন্ট। নানকিং, হোউ হোয়া, চাং ওয়া-র মতো দোকানগুলি উঠে যাওয়ার পর এই দোকানটির হেরিটেজ ট্যাগ প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে কলকাতার চাইনিজ খাবারের দোকানের জন্য শুভসংবাদ নিয়ে আসবে। ‘ইউ চাউ’ কথাটির অর্থ ‘ইউরোপ ইন ম্যান্ডারিন’। এই যে ইউরোপিয়দের জন্য ভাবনা এটাই প্রমাণ করে এই দোকানের ভাবনার সুর প্রথম থেকেই অন্যরকম ছিল। তাই বিশুদ্ধ চাইনিজ খাবারের পাশে এখানে ব্রিটিশ ভারতের ইউরোপিয় খদ্দেরদের জন্য ছিল কাটলেট ও পর্ক চপের ব্যবস্থা। বিশ শতকের প্রথমদিকে দক্ষিণ চীনের মই ইয়েন গ্রাম থেকে যে চীনা দম্পতি এই শহরে পা রাখেন তাঁরাই ১৯২২ সালে কম পয়সার খাবারের দোকান খোলেন। এই দোকানে তখন মূলত চীনা অভিবাসীরাই খেতে আসতেন।


তবে এই দোকানের বহিরাবরণ দেখে আপনার ভাল না লাগতেই পারে। হয়ত এর আশপাশ দিয়ে আগে বহুবার গেছেন কিন্তু কখনও খেয়াল করেনি দোকানটিকে। আসলে দৃষ্টি আকর্ষণকারী কোনও কিছুই নেই এ দোকানের। মনে হয় সময় থমকে আছে। লম্বা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হবে। আর ভেতরটা কিন্তু বেশ চমত্কার। এখানকার জিভে জল আনা খাবারগুলির মধ্যে চিমনি স্যুপ, চিলি পর্ক, চিকেন চিলি, হানি লেমন চিকেন, ফিস ইন চিলি ব্ল্যাক বিন, জোসেফাইনস নুডলস বিখ্যাত।



৮) নবীন চন্দ্র দাস (১৯৩৫)


ঠিকানা: ৭৭, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভেনিউ কলকাতা ৭০০ ০০৫ (শোভাবাজার) খোলা থাকে: সকাল ৭.৩০থেকে রাত ১০টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: রসগোল্লা


বিবরণ: বাগবাজারের নবীন চন্দ্র দাস রসগোল্লাকে বিশেষ স্বাদযুক্ত করে বাজারজাত করেন। যদিও তিনি প্রথমে সন্দেশ বানিয়েছিলেন। তার পর তৈরি করেন রসালো মন ভরানো রসগোল্লা। প্রথম প্রথম বাঙালী নবীন দাসের রসগোল্লাকে ভাল করে নেয়নি। একদিন ভগবান দাস বগলা নামে জনৈক ব্যবসায়ী গ্রীষ্মের দুপুরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাগবাজারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে প্রচণ্ড গরমে খুবই পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে তাঁর পুত্র। এমন সময় তিনি নবীন দাসের দোকান দেখতে পান। বগলার ছেলে তখন এতই তৃষ্ণার্ত যে চলার শক্তিও তার ছিল না। বাধ্য হয়ে বগলা দোকানদারের কাছে এক গ্লাস জল চাইলেন।


দোকানী ছেলেটিকে জলের সঙ্গে একটি রসগোল্লাও খেতে দেন। শিশুটির সে মিষ্টির স্বাদ দারুণ লাগে। ছেলের খুশি দেখে বাবাও খেয়ে ফেলেন একখানা রসগোল্লা। তার পর আরও একটা। রসগোল্লার অপূর্ব স্বাদে মুগ্ধ হয়ে পিতা-পুত্র মিলে পেটভরে খেলেন মিষ্টি। বগলা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ মিষ্টির অর্ডারও দিয়ে দিলেন। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি নবীন দাসকে। দেখতে দেখতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে গেল তাঁর রসগোল্লার খ্যাতি। ‘বাগবাজারের নবীন দাস’ হয়ে উঠলেন ‘রসগোল্লার কলম্বাস’।



৯) কে সি দাস (১৯৩৫)


ঠিকানা: ১১ এ এবং বি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০ ০৬৯ (ধর্মতলার মোড়ের কাছে) খোলা থাকে: সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: রসগোল্লা


বিবরণ: নবীন দাসের ছেলে কে সি দাস ও নাতি সারদাচরণ দাস মিলে ধর্মতলায় একটি বড়সড় মিষ্টির দোকান চালু করেন। তাঁদের চেষ্টাতেই রসগোল্লার আর একটি নতুন সংস্করণ বাজারে এলো— রসমালাই। কে সি দাসের কথা উঠবে আর ‘রসগোল্লা’র আবিষ্কর্তা তাঁদের বাবা নবীন চন্দ্র দাসের কথা উঠবে না, তাও কি হয়? রসগোল্লার সেই সনাতন স্বাদ দিব্যি বহাল রেখেছে এই দোকান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসগোল্লার রকমফের ঘটেছে। যেমন, স্ট্রবেরি রসগোল্লা। এ ছাড়াও এঁদের নলেনগুড়ের সন্দেশ, নলেরগুড়ের রোল, ল্যাংচা না খেলে কলকাতার মিষ্টির স্বাদ অধরা থেকে যাবে। শীতের স্পেশালিটি গুড় রায়টাকলি, গুড়ের শঙ্খ, গুড়ের তালশাঁস, অমৃতকুম্ভ।



১০) মোকাম্বো (১৯৪১)


ঠিকানা: ২৫বি, পার্ক স্ট্রিট, গ্রাউন্ড ফ্লোর, কলকাতা ৭০০ ০১৬ (ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থলের কাছে) খোলা থাকে: বেলা ১১.১৫ ৯টা থেকে রাত ১১.১৫


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: কন্টিনেন্টাল


বিবরণ: ইউরোপের রেস্টুরেন্টগুলো সেরা হয় কারণ, তাদের পরিচালকেরা খুঁতখুঁতে হন এবং সঠিক পথে ব্যবসা কারর দিকে জোর দেন। এই বিশ্বাস থেকে মোকাম্বোর প্রথম শেফ-কাম-ম্যানেজার ছিলেন অ্যান্টোনিও প্রানধে। তিনি ইটালির মানুষ। আর তাই গোড়া থেকেই এই রেঁস্তোরার খাদ্য তালিকায় ইউরোপিয়ান ও ইটালিয়ান খাবারের আধিক্য ছিল।


যেমন, চিকেন সিসিলিয়ান, ক্যানেলোনি কিংবা আও গ্র্যাটিন। আ লা কিয়েভ ও চিকেন স্ট্রোগানফ তো রাশিয়ান খাবার। মিঃ প্রানধে এই রেস্টুরেন্টের প্রাণপুরুষ হয়ে ওঠেন। শুরুর সময় এখানে লাইভ মিউজিক ও ডান্স ফ্লোরের ব্যবস্থা ছিল। মনে রাখতে হবে, তখনও ইউরোপে ডিসকো থেক চালু হয়নি। এখন আধুনিক ব্যবস্থায় এখানে মিউজিকের আসর বসে।



১১) সিরাজ (১৯৪১)


ঠিকানা: ১৩৫, পার্ক স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০১৪ (মল্লিক বাজার ক্রসিং-এ নিউরোসায়েন্স হসপিটালের পাশে) খোলা থাকে: বেলা ১২ থেকে রাত ১১.১৫


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: বিরিয়ানি


বিবরণ: বিরিয়ানি ভালবাসেন না, এমন খাদ্যরসিকের সন্ধান পাওয়াই দুষ্কর। জিভে জল আনা যে সব মুঘল খাবার রসনাতৃপ্তির অভিধানে চিরকাল অমলিন হয়ে থাকে, তার মধ্যে বিরিয়ানি অন্যতম। তবে কলকাতার বিরিয়ানির লক্ষ্ণৌ বা হায়দরাবাদি বিরিয়ানি থেকে কিছুটা আলাদা। বহু বিরিয়ানি রসিকের মতে সিরাজের বিরিয়ানিই সেরা- তা চিকেন হোক বা মাটন। তুলতুলে মাংসের টুকরো আর সুসিদ্ধ আলু দিয়ে তৈরি এই বিরিয়ানির স্বাদ জিভে লেগে থাকে। মোগলাই খানা পরিবেশনের উদ্দেশ্যে ১৯৪১ সালে বিহার থেকে কলকাতায় আসেন মহম্মদ আরশাদ আলি এবং মহম্মদ হুসেন। এখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের খাস বাবুর্চির বংশধর মহম্মদ সামসুদ্দিনের সঙ্গে। এই তিন জন মিলে বানিয়ে ফেলেন সিরাজ রেস্তোরাঁ। ১৯৫৬ সালে পাকাপাকি ভাবে রেস্তোরাঁর নাম হয় সিরাজ গোল্ডেন রেস্তোরাঁ। কলকাতায় আসা বহু সেলেবের প্রথম পছন্দ সিরাজের বিরায়ানি। এদের খদ্দের তালিকা তাই বেশ বিখ্যাত। আর ডি বর্মন, ফারুক শেখ, আমজাদ খান, মকবুল ফিদা হুসেন থেকে শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, সাবা করিম, শোয়েব আখতার, রণবীর কাপুর, আশিস বিদ্যার্থী, বিপাশা বসু, সুস্মিতা সেন সকলেই সিরাজে ঢুঁ মেরেছেন বা মারেন। শোভা দে তো সিরাজের বিষয়ে টুইট অবধি করেছেন।



১২) ইন্ডিয়ান কফি হাউস (১৯৪২)


ঠিকানা: ১৫, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০১৪ (কলেজ স্ট্রিট প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিপরীতে) খোলা থাকে: বেলা ৯টা থেকে রাত ৯টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: কফি


বিবরণ: ইন্ডিয়ান কফি বোর্ডের উদ্যোগে ১৯৪১-৪২ সালে সেন্ট্রাল এ্যাভিনিউর কফি হাউস খোলার কিছুদিন পরে ১৯৪২ সালে কলেজ স্ট্রিটের অ্যালবার্ট হলে আর একটি কফি হাউস খোলা হয়। পরবর্তীকালে এটি কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস নামে জনপ্রিয়তা পায়। এককালের বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রধান আড্ডাস্থল ছিল এই কফি হাউস। সাহিত্যিক, গায়ক, রাজনীতিবিদ, পেশাদার, ব্যবসায়ী ও বিদেশি পর্যটকদের আড্ডা দেওয়ার অবারিত জায়গা হিসাবে এটি খ্যাত।


এখনও কফি হাউস তার ঐতিহ্য বজায় রেখে চলছে। কফির গুণগত মান অটুট আছে। কফি হাউস আর কলেজ স্ট্রিট আজ সমার্থক। কলেজ স্ট্রিট যেমন বইয়ের সূতিকাগার, তেমনি কলেজ স্ট্রিটের প্রাণ এই কফি হাউস।



১৩) সাবির হোটেল (১৯৪৮)


ঠিকানা: ৩ ও ৫ বিপ্লবী অনুকুল চন্দ্র স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭২ (চাঁদনি চকের কাছে) খোলা থাকে: বেলা ৯টা থেকে রাত ১১টা


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: রেজালা


বিবরণ: ধর্মপ্রাণ মুসলিম হাজি সাবির আলি ১৯৪৮ সালে চাঁদনি চকে চালু করেন এই খাবার দোকান। তখন হোটেলটি ছোট ছিল আর রসুইখানা ছিল সামনের দিকে। প্রচুর সংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে আফগানিস্তানের কাবুলিওয়ালাদের একটা প্রধান আড্ডার ঠেক ছিল এই সাবির হোটেল। মুঘল হেঁসেল থেকে ‘রেজালা’ নামের খাবারটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে তার সেই আদি রেসিপি আর নেই।


কলকাতার রেজালা ঘরানা আবিষ্কর্তা এই হাজি সাবির আলি। এই হোটেলেই তিনি সেই জাদু খাবার বানান। সাদা ঝোলের ঘি, পেঁয়াজ আর বিভিন্ন মসলা সহযোগে খাসির সিনার মাংস দিয়ে তৈরি হয় এই রেজালা। হলুদ থাকে না, থাকে শুকনো লঙ্কা। এদের বিরিয়ানিও ভাল। বেশ ঝরঝরে ও রঙহীন। খেতে পারেন শাহি টুকরা ও ফিরনি। কাবাব ও রোলও মিলবে। রমজান মাসে মেলে হালিম। হোটেলের দোতলা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত।



১৪) কোয়ালিটি রেস্টুরেন্ট


ঠিকানা: ১৭, পার্ক স্ট্রিট, গ্রাউন্ড ফ্লোর, কলকাতা ৭০০ ০১৬ (পার্ক হোটেলের নিচে) খোলা থাকে: বেলা ১০টা থেকে রাত ১১.৩০


সেরা বলে যে খাবার বাছা হল: পাঞ্জাবী/উত্তর ভারতীয় খাবার


বিবরণ: জিভে জল আনা উত্তর ভারতীয়, মুঘলাই ও কন্টিনেন্টাল খাবারের জন্য বিখ্যাত এই রেস্টুরেন্টটির অবস্থান কলকাতার খুব সুন্দর জায়গায়। তাই খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন। এদের উত্তর ভারতীয় খাবারগুলির মধ্যে পিন্ডি চানা, কুলচা, ছোলা বাটুরা, চিকেন ভর্তা, ফিস ওরলি, নান ভাল লাগবে। অথচ শুরুতে এই খাবার দোকানে শুধু চা ও স্ন্যাক্স মিলত। পরবর্তীকালে ঘরে তৈরি আইসক্রিম বিক্রি শুরু হয়।




WBCHSE all subject's subject code

WBCHSE all subject subject code Set I Physics (PHYS) or Nutrition (NUTN) Chemistry (CHEM)or Geograph y (GEGR) Economics (ECON) or...