Arrear bill of West Bengal Teacher as per memo no 3049/1(20)-G.A. dated 04-012-2006
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার
MEMO NO : 3049/1(20)-G.A. DATED : 8.12.2006
To. রাজ্যের সমস্ত ফেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)।
বিষয় : বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তার কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠাবার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে সেই পদ্ধতি।
বিভিন্ন প্রস্তাব এই কার্যালয়ে পাঠানোর সময় বেশ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি লক্ষ্য করা গেছে। তার ফলে বিষয়গুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে শুধু যে অনাবশ্যক বিলম্বই হয়, তা নয়, শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবিগুলিও সত্বর পূরণ করা যায় না। তাছাড়া প্রস্তাবগুলি পাঠানোর ব্যাপারে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করার ফলে শিক্ষকদের দাবি পূরণে অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে একই দাবির জন্য দুবার অর্থপ্রদান বা দাবি অনুযায়ী ন্যায্য প্রাপ্তির বদলে বেশি অর্থ প্রাপ্তিরও আশঙ্কা থেকে যায়। এমতাবস্থায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের, এখানকার কার্যালয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষকদের দাবি সম্বলিত প্রস্তাবাদি পাঠাবার সময় বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা প্রদত্ত নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে যাতে পাঠানো প্রস্তাবাদি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণ সহজসাধ্য হয়।
(A) বকেয়া বিল : বকেয়া বিল তৈরি করতে হবে মোট চারটি (চার কপি)। তৃতীয় ও চতুর্থ অনুলিপি (কপি) দুটি রক্ষিত থাকবে বিদ্যালয়ে এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্যালয়ে। যে বিলটির ওপরে লেখা থাকবে 'Original Copy (আসল অনুলিপি) এবং যে বিলের উপরে লেখা থাকবে 2nd Copy (দ্বিতীয় অনুলিপি) সে দুটি বিল পাঠাতে হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তার অফিসে (কার্যালয়ে, সংযোজনী-১ এতে যে ভাবে ছক বানিয়ে দেওয়া হয়েছে অবশ্য পূর্বে প্রদত্ত ছকটি ৮.১১.৮৯ তারিখে মেমো নং ২৬২৭ (১৭) - জি.ও. নং অনুযায়ী যেভাবে মার্জিত ও রূপান্তরিত হয়েছে। সেভাবে। বিলের আসল অনুলিপি (কপিটি) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক শিক্ষা)-এর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মঞ্জুর করা বিলটির সঙ্গে যেটি আবার দাখিল করতে হবে ট্রেজারির কাছে।
(১) বিলের প্রত্যেকটি পাতায় মঞ্জুর করা টাকার অঙ্কের যোগফল থাকবে এবং বিলের পরবর্তী পাতার উপরে সে টাকার জের টেনে আনতে হবে। টাকার অঙ্কের সর্বশেষ যোগফল থাকবে বিলের শেষ পৃষ্ঠায়। সর্বশেষ যোগফলের টাকার অঙ্কটি যেমন অঙ্কে (figure ) লেখা থাকবে ঠিক তেমনি 'কথা' (words)-তেও লিখতে হবে।
(২) বিলে কোন ভুলত্রুটি সংশোধন করা হলে যথাস্থানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর থাকবে এবং সর্বশেষ যোগফলেও কাটাকুটি থাকলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ছাড়াও যেটি প্রত্যয়িত হতে হবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের স্বাক্ষরের দ্বারা।
(৩) প্রথম গ্র্যান্ট-ইন-এড (সরকারি সাহায্য) পাওয়ার তারিখ, মাস, সন ইত্যাদির উল্লেখ করতে হবে এবং বিলে অবশ্যই জানাতে হবে দাবির টাকা কেন ‘বকেয়া হল।
(৪) 'বকেয়া' (Arrear) দাবির জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলি এইরূপ : • চাকরি অনুমোদনপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি।
• আদালতের আদেশনামার অনুলিপি—যদি দাবি আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে থাকে। * জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের Fixation memo (বেতনক্রম নির্ধারণের আদেশনামা) যদি ‘বকেয়া অর্থের দাবি১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা/১৮ বছরের একটানা চাকরির অভিজ্ঞতা/২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার সুবাদে হয়ে থাকে।
* বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি শংসাপত্র (সার্টিফিকেট) যাতে কত দিনের/ মাসের/বছরের 'বকেয়া'র জন্য দাবি জানানো হচ্ছে এবং কী কারণে বকেয়ার ঘটনা ঘটল। এবং • যদি উচ্চতর বেতনক্রম বা বার্ষিক বেতনবৃদ্ধির সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের পাওনা বা প্রাপ্য হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সুযোগ প্রাপ্তির যৌক্তিকতাসূচক শংসাপত্র দিতে হবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে। সেই দাবির সমর্থনে যেসব নথিপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি পাঠাতে হবে বিলের সঙ্গে সেগুলি হল : (১) স্টাফ প্যাটার্ন, চাকরির অনুমোদন, মার্কসীট বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভার সম্মতি সম্বলিত গৃহীত প্রস্তাব, পরীক্ষা কবে শেষ হয়েছে তার উল্লেখ সম্বলিত পত্র (বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমাবর্তন (কনভোকেসন) এর তারিখ, সার্ভিস বই-এর প্রত্যয়িত অনুলিপি (কপি), আই.পি.এফ. স্টেটমেন্ট (বিবরণী) এবং মহামান্য আদালতের আদেশনামা (যেখানে যেটি প্রযোজ্য) ।
(বি) অপসনের তারিখ (ইচ্ছাপত্রের তারিখ) বদলের 'প্রস্তাব : অপসনের তারিখ বদলের জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন সেগুলি হল : • অপসনের তারিখ এখন কী আছে এবং সে তারিখটি বদলে কোন তারিখ চাইছেন শিক্ষকতার উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আবেদনপত্র। সে পরে অবশ্যই থাকতে হবে কী কারণে অপসনের তারিখের পরিবর্তন চাইছেন শিক্ষক।
অপসনের দিন অনুলিপি। বদলের জন্য যে দিন আবেদন করা হচ্ছে সেদিন পর্যন্ত স্বাক্ষরিত সার্ভিস বই-এর প্রত্যয়িত (অরিজিনাল) অপসন ফর্মের প্রত্যয়িত প্রতিলিপি, সংশ্লিষ্ট রোপা আইনের আই.পি.এফ. স্টেটমেন্ট (জেলা)- পরিদর্শকের প্রতিস্বাক্ষরতি হওয়া চাই)। • মাহিনার থাতা (অ্যাকুইটেন্স রোল) সংশ্লিষ্ট সময়ের অডিট রিপোর্ট-এর প্রত্যয়িত অনুলিপি। বিদ্যালয় * রোগা আইন মোতাবেক বকেয়া (Arrear) বিলের অনুলিপি। • তুলনামূলক বেতন নিম্নোক্ত ছক অনুযায়ী।
বছর তারিখ | মূল /আসল অপসনের তারিখ | মূল অপসন অনুসারে বেতন | মাহিনা খাতা অনুসারে কত বেতন | প্রস্তাবিত অপসনের তারিখে যা চাওয়া হয়েছে | প্রস্তাবিত বেতন /প্রস্তাবিত অপসন তারিখ প্রেক্ষিতে | বেতন বাবদ প্রাপ্যের চেয়ে কত টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে | বেতন বাবদ প্রাপ্যের মোট চেয়ে কত টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৪-৩ | সমগ্র সময়ের জন্য (Entire period) চূড়ান্ত হিসাব |
(সি) উচ্চতর বেতনক্রম (Sclae of Pay) মঞ্জুর প্রস্তাবঃ যে সমস্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে
(১) উচ্চতর বেতনক্রম প্রার্থী শিক্ষককে তার আবেদন তার দাবির সমর্থনে সংশ্লিষ্ট সরকারি আদেশনামার বিষয়টির উল্লেখ করতে হবে।
(২) বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভার সমর্থনসূচক গৃহীত প্রস্তাব।
(৩) শিক্ষকের চাকরির অনুমোদনপত্র।
(৪) যে সময় থেকে উচ্চতর বেতন চাওয়া হচ্ছে সে সময়কার স্টাফ প্যাটার্ন (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কর্তৃক প্রতায়িত অনুলিপি)।
(৫) মার্কসীটের জেরক্স কপি।
(৬) জেলা পরিদর্শকের প্রাক্ অনুমোদন।
(৭) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সবিশেষ স্পষ্ট মন্তব্য—কেন তিনি কোন পরিস্থিতিতে উচ্চতর বেতনক্রম মঞ্জুর
করতে পারেননি। (৮) বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কোন নথিপত্র থাকলে (৯) বেতনক্রম বা বার্ষিক বেতনবৃদ্ধির সুবিধাটি পোস্ট ফ্যাকটো কেস হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ব্যাখ্যা চাই
নাম তিনি প্রার্থী শিক্ষকের দাবি সমর্থন করছেন।
তার সঙ্গে দিতে হবে যেসব সমর্থনজ্ঞাপক নথিপত্র সেগুলি হল : স্টাফ প্যাটার্ন, চাকরির অনুমোদন, মার্কসীট, পরীক্ষার শেষ দিনের উল্লেখ সম্বলিত শংসাপত্র, ছাত্রসংখ্যা, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভার গৃহীত প্রস্তাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবের তারিখ, সার্ভিস বইয়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি, আই.পি.এফ. এর স্টেটমেন্ট এবং হামান্য আদালতের আদেশনামা (কিছু থাকলে)।
(ডি) বেতন সুরক্ষার জন্য প্রস্তাব (Pay protection) যে সমস্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন
(১) সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আবেদনপত্র।
(২) সাম্প্রতিক তারিখের সার্ভিস বই-এর এবং মাহিনা খাতার (Acquittance Roll) প্রত্যয়িত অনুলিপি। (৩) চাকরির অনুমোদনপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি। (৫) চাকরি ও বেতনের স্টেটমেন্ট সংযোজনী-১ এতে যে ছক এবং সরকারি আদেশনামা নং ৪৫৪-এস.ই.(বি)
(৪) ছুটির প্রত্যয়িত হিসাব ।
তারিখ ২১.১১.২০০৬ অনুযায়ী ছক পূরণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং ডি.ডি.
(অ্যাকাউন্টস)-এর সংশাপত্র সহ পাঠাতে হবে। ২২০২(৪২)-জি.এ. তারিখ ২৮.১.২০০৪ এবং ১৪০০ (২০)-জি.এ. তারিখ 26.4200৬ বাতিল বলে গণ্য হবে। উষ্টা : এর দ্বারা বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তার পূর্বতন আদেশনামা ২৬২৭(১৭)-জি.এ. তারিখ ৮.১১.৮৯, ০
স্বাক্ষর: অস্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তার পক্ষে।
পশ্চিমবঙ্গ ট্রেজারি রুল (২০০৫) এরিয়ার ক্লেইম (T.R. 4.024 )
আর-৪.০২৪
(১) প্রত্যেক আহরণ ও ব্যয়ন অধিকারিক সতর্ক হবেন যে, যখনই কোন বকেয়া পাওনা হবে তখনই বকেয়া আদায় করার জন্য তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ম্যানুয়েল
(২) যদি কোন পাওনা কোন কারণে একবছরের মধ্যে আদায় বা পেশ না করা যায়, তবে সাব-রুল (৩) থেকে রুল (৬)-এর ধারা অনুযায়ী তোলা যাবে।
(৩) সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া বেতন এবং ভাতা, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি বিষয়ক ইত্যাদি এবং যে ব্যক্তি সর কর্মচারী নন এরূপ ব্যক্তির রবেনা বেতন যদি একবছর খুব বেশি হলে তিন বছর স্থগিত থাকে, তাহলে প্রধান কার্যাল সমস্ত নথিপত্রের সঙ্গে সত্যতা যাচাই করে পাঠিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিতে পারেন। এরূপ অনুমোদনের আগে প্রধান খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন যে, বকেয়া আদায়ের সমস্ত কিছু সরকারি কর্মচারীর সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি শংসাপত্র দেবেন যে, “কর্মচারীর সার্ভিস বইতে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং তা পূর্বে তোলা যুদ্ধ নাই।” আহরণ ও বায়ন আধিকারিক (D.D.D.) এই বকেয়া আদায় যথা সময়ে না তোলার কারণ দর্শাবেন এবং কার্যালয়ের প্রধান নিশ্চিত হবেন যে এই দেরি কোন অসতর্কতা বা অবহেলাজনিত কারণে হয় নি আহরণ ও বায়ন আধিকারিকের ক্ষেত্রে। যদি কার্যালয়ের প্রধান নিজে আহরণ ও ব্যয়ন আধিকারিক হন তাঁর ক্ষেত্রে তাঁকে তাঁর উপরিস্থিত আধিকারিককে দিয়ে খুঁটিনাটি পরীক্ষা করিয়ে নেবেন, যদি না এই টাকার পরিমাণ ১০০০ টাকা বা তার কম হয়। এরূপ বকেয়া আদায়ের ঘটনা সরকারি কর্মচারির সার্ভিস বইতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করবেন।
(৪) সরকারি কর্মচারীর বকেয়া বেতন এবং ভাতা ও বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি এবং সরকারি কর্মচারী নন এরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি বকেয়া আদায় তিন বছরের বেশি এবং ছয় বছরের কম হয় এরূপ ক্ষেত্রে যদি টাকা তোলা হয় তাহলে বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদন দরকার, সার্ভিস রেকর্ড অনুসারে, তবে এরূপ টাকা না তোলার ব্যাপারে কারণ দর্শাতে হবে আহরণ ও বায়ন আধিকারিককে। সেক্ষেত্রে যদি অন্য কোন রেকর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণ দেখান তা বিবেচনার আওতায় আসবে। বিভাগীয় প্রধানের বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে, বিভাগীয় প্রধান নিজের বকেয়ার ক্ষেত্রে যথার্থতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে টাকা তুলবেন। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধান নিজে এবং তাঁর উপরিস্থিত আধিকারিকের প্রশাসনিক কার্যালয়ের অনুমোদন করিয়ে নেবেন এবং খুঁটিনাটি পরীক্ষার পর বকেয়া প্রাপ্যের যোগ্যতা সম্বন্ধে উল্লেখ করবেন। বকেয়া আদায়ের সমস্ত খুঁটিনাটি ঘটনা জানিয়ে কর্মচারীর কৃত্যক বইতে (Service Book) পরিষ্কারভাবে লিপিবদ্ধ করবেন।
(৫) সরকারি কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ক বকেয়া বেতন এবং সরকারি কর্মচারী নন এমন ক্ষেত্রে যদি বকেয়া আদায়ের আওতায় আসেন এবং তা যদি ছয় বছরের বেশি হয় এমনকি সময়ের কোন বাঁধাধরা নিয়ম না থাকে— লিমিটেশন অ্যাক্ট ১৯৬৩ (৩৫ অফ ১৯৬৩) অনুসারে তদন্ত করে প্রশাসনিক কার্যালয়ের অনুমোদন করিয়ে নেবেন। এই বকেয়া আদায়ের ঘটনা কর্মচারীর সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধ করবেন।
(৬) বকেরা দাবির অনুমোদনের সকল ক্ষেত্রে আধিকারিকগণ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করবেন যে কর্মচারী বকেয়া পাওয়ার যোগ্য এবং প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে একটা ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করিয়ে নেবেন যে, যদি কোন রূপ অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হয় সেই অতিরিক্ত টাকা তার মাহিনা বা তার অনুতোষিক (Gratuity) থেকে কেটে নেওয়া যাবে। সকল ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রতিলিপি ট্রেজারি, প্রশাসনিক বিভাগ, অর্থ বিভাগ (অস্ত হিসাব পরীক্ষা), এ.এ.
মহাগাণনিক (এ এবং ই) বা মহাগাপনিক (অডিট) এবং ট্রেজারি অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গকে পাঠাতে হবে। (৭) যদি অনেক আগে থেকে বকেয়া আদায়ের প্রশ্ন আসে অর্থাৎ যে দিন থেকে অনুমোদন হয়েছে, তা যদি এক বছর বা তিন বছর এমনকি যদি ছয় বছরের হয় তাহলে — সাব-রুল (৩) থেকে সাব-রুল (৬)-এর ধারা অনুযায়ী যেদিন থেকে
অনুমোদন করা হয়েছে সেই দিন থেকে বকেয়া হিসাব গণনা করা হবে। যেদিন থেকে পাওয়ার যোগা সেদিন থেকে নয়। (৮) বকেয়া মাহিনা ও ভাতা, তৎসহ বাঁধাধরা ভাতা, ছুটির মাহিনা বা চুক্তিভিত্তিক ভাতা তোলা যাবে তবে সাধারণ মাসিক বিলে নয়, পৃথক বিলে। প্রতি মাসের দাবি আলাদা আলাদাভাবে দেখাতে হবে এবং কারণ হিসাবে দেখাতে হবে যে, ভুলবশত মাসিক বিলে দেখানো হয় নাই / আটকে রাখা হয়েছিল/কেটে নেওয়া হয়েছিল বা নূতন কোন আদেশবলে ভাতা বা বর্ধিত বেতন অনুমোদন হয়েছে। এ বিষয়ে বকেয়া বিলে, অফিস কপিতে এমনকি বেতন বহিতে কোন সময় থেকে কোন সময় এই বকেয়া আদায় তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে তারিখ সহ নিম্নলিখিত আকারে যাতে একাধিকবার বকেয়া দেওয়ার ঝুঁকির সম্ভাবনা না থাকে।
(৯) আসল বকেয়া বিলের উপর এমনকি অফিস কপিতে এই শংসাপত্র দিতে হবে যে, “এই বকেয়া আদায় এই বিলে যা তোলা হল তা পূর্বে তোলা হয় নাই।" এই মন্তব্য বিলের অফিস কপি এবং পে রেজিস্টার-এ স্বাক্ষর ও তারিখ সহ উল্লেখ করতে হবে।
(১০) (ক) পূর্বে যে পদে ছিলেন তার ভাতা ও বেতন অনুযায়ী কোন বকেয়া প্রাপ্য হলে (বেতন নির্ধারণের জন্য বেতন ও ভাতা) বর্তমান আহরণ ও ব্যয়ন আধিকারিক সেই টাকা তুলতে পারেন কিন্তু তিনি কর্মচারীকে নতুন পদে বকেয়া দেওয়ার জন্য দায়ভার গ্রহণ করবেন যদি একই বিভাগের হয় বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্য কোন বিভাগের বা অন্য কোন সরকারের হয়। (খ) পরবর্তী আহরণ ও ব্যয়ন আধিকারিক ‘Due and Drawn' দেখিয়ে বিবরণ প্রস্তুত করতে পারেন এবং পূর্বের কার্যালয়ের বা মূল অফিসে তা পাঠিয়ে সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।
(গ) পূর্বের অফিস বা মূল অফিস সেই বিলের সত্যতা যাচাই করতে পারে কার্যালয়ের নথি অনুসারে এবং সত্যতা যাচাইয়ের পর কর্মচারীর বর্তমান কার্যালয়ে পাঠাতে পারে যে কর্মচারীর বকেয়া বিল যথার্থ এবং কার্যালয়ের পে বিল রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই নির্দেশ দিয়ে।
To view how to prepare Arrear bill and download the format
No comments:
Post a Comment