সকল ছাত্র শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন পরিচয় পত্র তৈরী করার প্রকল্প কেন্দ্রের
শিক্ষাক্ষেত্রে এ বার আসছে আরও একটি পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড। ছাত্র, শিক্ষক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কেও তা তৈরি করতে হবে। সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য থাকবে। আগামী স্বাধীনতা দিবসেই এই কার্ড তৈরি শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন হঠাৎ ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য আলাদা কার্ড বানিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরির প্রয়োজন হলো, সে প্রশ্নের সদুত্তর নেই কেন্দ্রের কারও কাছে। কার্যত সে প্রশ্ন তুলেই আইএসআই কলকাতার অধ্যাপক প্রবাল চৌধুরী বলেন, 'এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার হচ্ছে না।
এছাড়া এই ডেটা দিয়ে সরকার করবেটা কী। ক্লাসে শিক্ষক না থাকা, শৌচালয় বা পানীয় জলের অভাব, পরিকাঠামোর সমস্যা দূর করতে কি এই আইডি কোন কাজে আসবে? নয়া এই কার্ডের ভিত্তিতে দেশের প্র
ত্যেক পড়ুয়া ও শিক্ষকের একটি করে ইউনিক আইডি হবে। ভোটার, আধার বা প্যানের মতোই এটিও দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া শিক্ষকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হতে চলেছে। কেন্দ্র এর নাম দিয়েছে এডুকেশন ইকোসিস্টেম রেজিস্ট্রি', সংক্ষেপে ইইআর। এই কার্ডে থাকবে কিউ আর কোড । যার সাহায্যে সহজেই তথ্য স্ক্যান করা যাবে ।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত 2 পাতার খসড়া নীতিপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে কেন্দ্র। জনতার মতও চাওয়া হয়েছে।কী ভাবে কাজ করবে এই কার্ড। ধরা যাক, অঙ্গনওয়াড়ি বা কোনও বেসরকারি প্লে স্কুলে শিশুকে ভর্তি করার সময়েই তৈরি হবে এই ইইআর। যার ভিত্তিতে শিশুর নামে সরকারি পোর্টালে একটি আইডি তৈরি হবে এবং তাকে দেওয়া হবে ডিজিটাল কার্ড। আইডিতে শিশুর নাম, পরিচয়, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বরের পাশাপাশি আপলোড করতে হবে ক্লাসের পরীক্ষার ফল, সে কী শিখছে কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে কি না, গান-বাজনা-খেলাধুলোর কোথায় পারদর্শিতা, বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর, কোনও পুরস্কার পেয়েছে কি না, ইত্যাদি। এই কার্ডকে পড়ুয়ার আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করাতে হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তার শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রক্রিয়া চলবে চাকরির দোরগোড়া পর্যন্ত। পড়ুয়াদের মার্কশিট, রেজাল্টের কপিও আইডিতে 'স্টোর হতে থাকবে।কাজের দায়িত্ব পড়েছে ন্যাশনাল টেকনোলজি ফোরামের চেয়ারপার্সন অনিল ডি সহস্রবুধের উপরে। তিনি জানান, কার্ডের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার হাল, অগ্রগতি বা সামতিও দ্রুত 'ট্যাক' করা সম্ভব। তবে কেন্দ্র এই উদ্যোগকে উপর থেকে চাপিয়ে দিতে চায় না বলে তাঁর দাবি।
সহস্রবুরের মতে, দেশ জুড়ে ছাত্র- শিক্ষকদের 'ডেটা ব্যাঙ্ক' তৈরি হওয়া উচিত। কিন্তু তা রাজ্যের অধিকার বা সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নয়। তিনি বলেন, 'ডেটা চুরি ঠেকাতেও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাব হলেও রাজ্য-কেন্দ্র যৌথ ভাবেই চালাবে এই প্রকল্প।' কার্ডে থাকবে একটি কিউআর কোড। যা স্ক্যান করলেই পড়ুয়া বা শিক্ষকের তথ্য মিলবে।